সমাবেশ থেকে একইসাথে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানানো হয়।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির পাশের প্যাটারসন সিটিতে বিএনপির ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাসাসের সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান।
তিনি বলেন, “দিনের ভোট আগের রাতেই বাক্সে ভরে গঠিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। বিএনপির অনেক পুরনো অভিযোগেরই সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হলো ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের এই নির্বাচনে।”
“এখন সময় হচ্ছে ভোট ডাকাতিতে পারদর্শী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ংকর আন্দোলন রচনার। গতানুগতিক আন্দোলনে জনগণের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত সরকারকে সরানো যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।”
সমাবেশের প্রধান বক্তা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ও তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারপার্সন আকতার হোসেন বাদল বলেন, ‘গোটা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে আবারো শেখ হাসিনা মার্কা ভোট ডাকাতির মহড়া প্রত্যক্ষ করলো। মেশিনে কারচুপির এ নির্বাচনী ফলাফল বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেই ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি।”
বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করে বাদল বলেন, “আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের মা বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং তারেক রহমানকে বীরের বেশে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশে জনগণের শাসনের প্রত্যাবর্তন ঘটবে।”
বিশেষ অতিথি জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, “জনতার রায় ছিনতাইয়ের যে কৌশল বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছিল তা আগেই দেশবাসীকে অবহিত করে বিএনপি। সেই অভিযোগ হান্ড্রেড পার্সেন্ট সত্য বলে প্রত্যক্ষ করলো গণতান্ত্রিক বিশ্ব। তাই শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো না গেলে বাংলাদেশের অপশাসন কখনোই দূর হবে না।”